তরমুজের উপকারিতা ও শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ ।

গ্রীষ্মকালে এক সুস্বাদু ফল তরমুজ। নানা রকমের উপকারী গুণের কারণে তরমুজের কোন জুরি নেই। শুধু প্রশান্তির জন্যই নয়, স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও তরমুজ অনেক উপকারী। তরমুজে থাকা উপকারী উপাদানগুলো হল একাধিক ভিটামিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লাইকোপেন এবং পানি। গরমে পানির ঘাটতি কমাতে তরমুজ খুবই কাজের। তরমুজের প্রায় ৯২ ভাগই পানি। তাই শরীরকে ঠান্ডা করতে ও পানিশূন্যতা কমাতে তরমুজ অতুলনীয়। তরমুজ মস্তিষ্ক ও শরীরকে রাখে ঠান্ডা এবং নিমিশেই দেহে শক্তি সঞ্চার করে। তরমুজে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম। সামান্য পরিমাণ তরমুজেই প্রায় ৪৫ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। নিয়মিত তরমুজ খেলে, প্রতিদিনের ভিটামিন এ র চাহিদার ৭ শতাংশ এবং ভিটামিন সি র চাহিদার ২১ শতাংশ পূরণ হয়।

তরমুজ

                              গরমের ফল তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ বি ও সি

এছাড়া এই ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তরমুজের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো লাইকোপেন মজার ব্যাপার হলো এই লাইকোপেন এর উপস্থিতির কারণেই তরমুজ এমন লাল টকটকে দেখায় এসব উপাদানের উপকারিতা ও কম নয় গবেষণায় দেখা গেছে তরমুজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে তরমুজে থাকা লাইকোপেন মানবদেহের কয়েক ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং হিট স্ট্রোক ও হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে খুব ভালো কাজ করে যেসব খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে তরমুজ তার মধ্যে অন্যতম তরমুজে থাকা ভিটামিন সি ও ভিটামিন B6 শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এছাড়া এই ফলে থাকা অ্যামাইনো এসিড ব্লাড প্রেসার কমাতে দারুণ কাজ করে তরমুজের আরেকটি গুণ হলো এটি চুল ও ত্বকের জন্য বেশ উপকারী এতে থাকা ভিটামিন সি চুল ও ত্বকের শক্তি সঞ্চার করে জার্মানির একটি গবেষণায় বলা হয়েছে লাইকোপেন ও বিটা ক্যারোটিন ত্বক কে রোদে পোড়া থেকে সুরক্ষা দেয় তাই রোদে পোড়া ত্বকের একটি ভালো সমাধান তরমুজ তরমুজ এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ভিটামিন এ এটিও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী ভিটামিন এ ত্বকের ক্ষয়  কমানো

নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে চোখের সুস্থতার জন্য ভিটামিন এর বিকল্প নেই এক ফালি তরমুজ এই প্রতিদিনের প্রয়োজন ৯ থেকে ১১ ভাগ ভিটামিন এ পাওয়া যায় যা চোখের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে যারা নিয়মিত শরীর চর্চা করেন তাদের জন্য তরমুজ আরো কাজের ব্যায়াম করার পর তরমুজ খেলে খুব দ্রুত সুফল পাওয়া যায় তরমুজের থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যামাইনো এসিড পটাশিয়াম ও মিনারেল ব্যায়ামের পর খুব সহজেই পেশিতে শক্তি যোগাতে সহায়তা করে

                       তরমুজ

                                 কথায় আছে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না

 অধিক পরিমাণে তরমুজ খেলে ডায়রিয়া সহ পেটের নানা রোগ দেখা দিতে পারে তরমুজে থাকা সুগার কম্পাউন্ড বুক জ্বালাপোড়া এবং বদহজমের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে তরমুজে অধিক শর্করার রয়েছে তাই প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে তরমুজ খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে পুষ্টিবিদরা বলছেন দিনের সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ খাওয়া যেতে পারে ৫০০ গ্রাম তরমুজ খেলে ১৫০ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায় এর বেশি তরমুজ খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে ।


ভালো লাগলে শেয়ার করুন ।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
No Comment
Add Comment
comment url